ধীরে ধীরে সে দুয়ারে আমার
ধীরে ধীরে সে হাওয়ায়
ধীরে ধীরে মন পাহারা তবু কেন
মন চুরি হয়
যে ছিল আড়ালে
খুব কাছে দাঁড়ালে
তার ছায়া শরীরে
খুব কাছে জড়ালে
ধীরে ধীরে আপন হলো
সে যে আমার
থাকো না তুমি
যেওনা দূরে
এক নদী এক স্রোতে
বহিয়া এক সুরে
ধীরে ধীরে কাছে আরও
কাছে সে আবার
বোঝেনা বোঝেনা বোঝেনা
3:05:00 AM
কন্ঠঃ অরিজিত সিং
কথাঃ প্রসেন
সুরঃ ইন্দ্রদীপ দাসগুপ্ত
||
বড় ইচ্ছে করছে ডাকতে,
তার গন্ধে মেখে থাকতে,
কেন সন্ধ্যে সন্ধ্যে নামলে সে পালায়,
তাকে আটকে রাখার চেষ্টা,
আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে তেষ্টা,
আমি দাঁড়িয়ে দেখছি শেষটা জানলায
়
বোঝেনা সে বোঝেনা,
বোঝেনা সে বোঝেনা
বোঝেনা বোঝেনা বোঝেনা
পায় স্বপ্ন স্বপ্ন লগ্নে,
তার অন্য অন্য ডাকনাম,
তাকে নিত্যনতুন যত্নে কে সাজায়,
সব স্বপ্ন সত্যি হয় কার,
তবু দেখতে দেখতে কাটছি
আর হাঁটছি যেদিকে আমার দু-চোখ যায
়
বোঝেনা সে বোঝেনা,
বোঝেনা সে বোঝেনা
বোঝেনা বোঝেনা বোঝেনা
আজ সব সত্যি মিথ্যে,
দিন বলছে যেতে যেতে,
মন গুমরে গুমরে মরছে কি উপায়,
জানি স্বপ্ন সত্যি হয় না,
তবু মন মানতে চায় না,
কেন এমন রাত্রি নামছে জানলায
়
বোঝেনা সে বোঝেনা,
বোঝেনা সে বোঝেনা
বোঝেনা বোঝেনা বোঝেনা
এটা গল্প হলেও পারতো,
পাতা একটা আধটা পড়তো,
খুব লুকিয়ে বাঁচিয়ে রাখতাম তাকে,
জানি আবার আসবে কালকে,
নিয়ে পালকি পালকি ভাবনা,
ফের চলে যাবে করে একলা আমাকে
বোঝেনা সে বোঝেনা,
বোঝেনা সে বোঝেনা
বোঝেনা বোঝেনা বোঝেনা
বোঝেনা সে বোঝেনা,
বোঝেনা সে বোঝেনা
বোঝেনা বোঝেনা বোঝেনা
বোঝেনা সে বোঝেনা,
বোঝেনা সে বোঝেনা
বোঝেনা বোঝেনা বোঝেনা
আমার সোনার ময়না পাখি ।।
3:02:00 AM
সঙ্গীতায়োজনঃ অর্ণব
সঙ্গীত পরিচালনাঃ ইকবাল এ. কবির
আমার সোনার ময়না পাখি
কোন দেশেতে গেলা উইড়া রে
দিয়া মোরে ফাঁকি রে
আমার সোনার ময়না পাখি ।।
সোনা বরণ পাখিরে আমার
কাজল বরণ আঁখি
দিবানিশি মন চায়রে
বাইন্ধা তরে রাখি রে
আমার সোনার ময়না পাখি ।।
দেহ দিছি প্রাণরে দিছি
আর নাই কিছু বাকী
শত ফুলের বাসন দিয়ারে
অঙে দিছি মাখি রে
আমার সোনার ময়না পাখি ।।
যাইবা যদি নিঠুর পাখি
ভাসাইয়া মোর আঁখি
এ জীবন যাবার কালে রে
ও পাখি রে
একবার যেন দেখি রে
আমার সোনার ময়না পাখি ।।
আমার একলা আকাশ থমকে গেছে রাতের স্রোতে ভেসে
2:59:00 AM
আমার একলা আকাশ থমকে গেছে রাতের স্রোতে ভেসে
শুধু তোমায় ভালবেসে
আমার দিনগুলো সব রঙ চিনেছে তোমার কাছে এসে
শুধু তোমায় ভালবেসে
তুমি চোখ মেললেই ফুল ফুটেছে আমার ছাদে এসে
ভোরের শিশির ঠোঁট ছুঁয়ে যায় তোমায় ভালবেসে
আমার ক্লান্ত মন,ঘর খুঁজেছে যখন
আমি চাইতাম পেতে চাইতাম শুধু তোমার টেলিফোন
ঘর ভরা দুপুর
আমার একলা থাকার সুর
রোদ গাইতো,আমি ভাবতাম তুমি কোথায় কতদূর
আমার বেসুর গীটার সুর বেঁধেছে তোমার কাছে এসে
শুধু তোমায় ভালবেসে
আমার একলা আকাশ চাঁদ চিনেছে তোমার হাসি হেসে
শুধু তোমায় ভালবেসে
অলস মেঘলা মন, আমার আবছা ঘরের কোণ
চেয়ে রইত,ছুঁতে চাইতো, তুমি আসবে আর কখন
শ্রান্ত ঘুঘুর ডাক,ধুলো মাখা বইয়ের তাক
যেন বলছে,বলে চলছে, থাক অপেক্ষাতেই থাক
————-
মুভি: একলা আকাশ
আগে যদি জানতাম
2:58:00 AM
আগে যদি জানতাম তবে মন ফিরে চাইতাম
এই জ্বালা আর প্রাণে সহে না
ও মন রে…
কিসের তরে রয়ে গেলি তুই
বলেছিলি তুই যে আমায়
আমি নাকি ভুলে যাবো
ভুলে আমি ঠিকই তো যেতাম
পোড়া মনে তোরই কথা
বারে বারে বেজে ওঠে
তাই তোকে আর ভোলা হলো না রে
এই জ্বালা আর প্রাণে সহে না রে
জানিনা কেনো যে আমায়
একা ফেলে চলে গেলি
ভুলেও কি মনে পড়ে না
তোরই মতো কোনদিনও
আমিও যে ভুলে যাবো
তবু এই জ্বালা প্রাণে সইবো না রে
এই জ্বালা আর প্রাণে সহে না
—————–
লাকী আখন্দ
আকাশ এত মেঘলা
2:57:00 AM
আকাশ এতো মেঘলা
যেও নাকো একলা
এখনি নামবে অন্ধকার
ঝড়ের জল-তরঙ্গে
নাচবে নটি রঙ্গে
ভয় আছে পথ হারাবার
গল্প করার এইতো দিন
মেঘ কালো হোক মন রঙিন
সময় দিয়ে হৃদয়টাকে
বাঁধবো নাকো আর
আঁধারো ছায়াতে
চেয়েছি হারাতে
দু’বাহু বাড়াতে
তোমারি কাছে
যাক না এমন এইতো বেশ
হয় যদি হোক গল্প শেষ
পূর্ন হৃদয় ভুলবে সেদিন
সময় শূন্যতার
আকাশ এতো মেঘলা
যেও নাকো একলা
এখনি নামবে অন্ধকার
ঝড়ের জল-তরঙ্গে
নাচবে নটি রঙ্গে
ভয় আছে পথ হারাবার
——————–
সতীনাথ মুখোপাধ্যায়
প্রেমের জোয়ারে ভাসাবে দোঁহারে– বাঁধন খুলে দাও, দাওদাও দাও
2:51:00 AM
প্রেমের জোয়ারে ভাসাবে দোঁহারে– বাঁধন খুলে দাও, দাও
দাও দাও।
ভুলিব ভাবনা, পিছনে চাব না,– পাল তুলে দাও, দাও দাও
দাও॥
প্রবল পবনে তরঙ্গ তুলিল, হৃদয় দুলিল, দুলিল দুলিল–
পাগল হে নাবিক, ভুলাও দিগ্বিদিক,– পাল তুলে দাও, দাও
দাও দাও॥
রাগ: বাহার
তাল: দাদরা
আমি হৃদয়েতে পথ কেটেছি, সেথায় চরণ পড়ে
2:50:00 AM
আমি হৃদয়েতে পথ কেটেছি, সেথায় চরণ পড়ে,
তোমার সেথায় চরণ পড়ে।
তাই তো আমার সকল পরান কাঁপছে ব্যথার ভরে গো,
কাঁপছে থরোথরে ॥
ব্যথাপথের পথিক তুমি, চরণ চলে ব্যথা চুমি–
কাঁদন দিয়ে সাধন আমার চিরদিনের তরে গো,
চিরজীবন ধ’রে ॥
নয়নজলের বন্যা দেখে ভয় করি নে আর,
আমি ভয় করি নে আর।
মরণ-টানে টেনে আমায় করিয়ে দেবে পার,
আমি তরব পারাবার।
ঝড়ের হাওয়া আকুল গানে বইছে আজি তোমার পানে–
ডুবিয়ে তরী ঝাঁপিয়ে পড়ি ঠেকব চরণ-’পরে,
আমি বাঁচব চরণ ধরে ॥
রাগ: পিলু
তাল: দাদরা
দুখের বেশে এসেছ ব’লে তোমারে নাহি ডরিব হে
2:49:00 AM
দুখের বেশে এসেছ ব’লে তোমারে নাহি ডরিব হে।
যেখানে ব্যথা তোমারে সেথা নিবিড় ক’রে ধরিব হে ॥
আঁধারে মুখ ঢাকিলে স্বামী, তোমারে তবু চিনিব আমি–
মরণরূপে আসিলে প্রভু, চরণ ধরি মরিব হে।
যেমন করে দাও-না দেখা তোমারে নাহি ডরিব হে ॥
নয়নে আজি ঝরিছে জল, ঝরুক জল নয়নে হে।
বাজিছে বুকে বাজুক তব কঠিন বাহু-বাঁধনে হে।
তুমি যে আছ বক্ষে ধরে বেদনা তাহা জানাক মোরে–
চাব না কিছু, কব না কথা, চাহিয়া রব বদনে হে ॥
রাগ: ইমনকল্যাণ
তাল: ঝম্পক
যা হারিয়ে যায় তা আগলে বসে
2:47:00 AM
যা হারিয়ে যায় তা আগলে বসে
রইব কত আর?
আর পারি নে রাত জাগতে হে নাথ,
ভাবতে অনিবার।
আছি রাত্রিদিবস ধরে
দুয়ার আমার বন্ধ করে,
আসতে যে চায় সন্দেহে তায়
তাড়াই বারে বার।
তাই তো কারো হয় না আসা
আমার একা ঘরে।
আনন্দময় ভুবন তোমার
বাইরে খেলা করে।
তুমিও বুঝি পথ নাহি পাও,
এসে এসে ফিরিয়া যাও,
রাখতে যা চাই রয় না তাও
ধুলায় একাকার।
রাগ: মিশ্র ঝিঁঝিট
তাল: একতাল
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১ আশ্বিন, ১৩১৬
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1909
রচনাস্থান: কলকাতা
Subscribe to:
Posts (Atom)